মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে কাবিননামা ছাড়া বিয়ের পরে তা অস্বীকার করায় এক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার (৯ মার্চ ) ঢাকার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. কামরুন্নাহার এ নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. আশরাফ হোসাইন। তিনি উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের খাসেরচর গ্রামের ফজলুর রহমানের পুত্র ও সিঙ্গাইর পাইলট গার্লস হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ঢাকা জেলার আশুলিয়ার তাসলিমা আক্তারের দায়ের করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আশরাফ হোসাইন ২০১৯ সালে ঢাকার আশুলিয়া এলাকার তাসলিমা আক্তার নামের এক নারীকে হলফনামা সম্পাদনের মাধ্যমে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় শিক্ষক আশরাফ তাসলিমার পরিবারকে বলেন, বিয়ের জন্য কাজী অফিসে নিবন্ধন করলে তার চাকরির ক্ষেত্রে ক্ষতি হবে। তাসলিমা ও তার পরিবার বিষয়টি বিশ্বাস করেন। আর সুযোগেই আশরাফ তাসলিমার সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে থাকেন। একপর্যায়ে আশরাফ কাবিননামা না থাকার সুযোগে অন্যত্র বিয়ে করে তাসলিমাকে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় তাসলিমা বাদী হয়ে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
এরপর আদালত পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। পিবিআই ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।